দ্রৌপদী পূর্ব জন্মে কে ছিলেন। দ্রৌপদীর পঞ্চস্বামীর কারন কি?

দ্রৌপদী পূর্বে জন্মে ছিল দেবরাজ ইন্দ্রের স্ত্রী শচিদেবী। দ্ধপদে পাঞ্চালরাজ দ্রুপদ, দ্রোনকে বধ করার জন্য গঙ্গা – যমুনার তীরে বীর পুত্র লাভের জন্য যাজ ও উপযাজ নামে দুই নিষ্ঠাবান ব্রক্ষানের সাহায্যে পুত্রষ্টি যঞ্জ করে। যঞ্জ বেদী থেকে শ্যামবনা সুন্দরী কন্যা দ্রৌপদীর জন্ম। দ্রৌপদীর পঞ্চস্বামী নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মতভেদ আছে। ত্বষ্টা ঋষির পুত্র ত্রিশিরা কঠোর তপস্যা শুরু করে। দেবরাজ ইন্দ্র এই কঠোর তপস্যা দেখে নিজের সিংহাসন হারানোর ভয় পায় তাই তাঁকে কৌশলে হত্যা করে। এই পাপে দেবরাজ ইন্দ্র নিস্তেজ হয়ে পরে আর এই তেজ ধর্মে মধ্যে প্রবেশ করে। এই সময় ত্বষ্টা মুনি ক্রুদ্ধ হয়ে বৃত্র নামে অসুরকে সৃষ্টি করেন। দেবরাজ ইন্দ্রকে বধ করার জন্য। কিন্তু দেবরাজ ইন্দ্র তাঁকে ও কৌশলে বিনাশ করে। এই পাপ কাজ করার জন্য তিনি বল হারিয়ে ফেলে আর এই বল বায়ুতে প্রবেশ করে। এরপর যখন দেবরাজ ইন্দ্র গৌতম মুনির রূপ ধারণ করে অহল্যাকে উপভোগ করে তখন তাঁর রূপ নষ্ট হয়ে যায়। আর সেই রূপ অশ্বিনী কুমারদ্বয়কে আশ্রয় নেয়। এই ভাবে দেবরাজ ইন্দ্র তেজহীন রূপহীন ও বলহীন হয়ে পরে। দানবগন তাঁকে জয় করবার জন্য সেই ধর্ম রূপ ও তেজ নিয়ে রাজকূলে জন্মগ্ৰহন করে। এর ফলে বসুন্ধরা দেবসভার গিয়ে দেবতাদের বলে – হে দেবগন আপনারা বলবান অসুরগনকে বিনাশ করলে তাঁরা মানষ্যলোকে রাজার ঘরে জন্ম গ্ৰহন করছে। তাদের সংখ্যা অনেক বেশি তাই আমি তাঁদের ভারে পীড়িত হয়ে অধোগামিনী হচ্ছি। আপনারা আমার শান্তির ব্যবস্থা করুন। তারপর পৃথিবীর ভার গ্ৰহনের জন্য দেবগন নিজ নিজ তেজোভাগ দ্বারা স্বর্গ থেকে পৃথিবীতে অবতীর্ণ হয়। ধর্ম দেবরাজ ইন্দ্রের দেহজাত সেই তেজ কুন্তীর গর্ভে নিক্ষেপ করলে যুধিষ্টির জন্ম হয়। এইভাবে বায়ুর দ্বারা ভীম দেবরাজের বলের অর্ধেক দিয়ে অর্জুন আর অশ্বিনী কুমারদ্বয়ের দ্বারা মাদ্রীগর্ভে যমজ কুমার নকুল ও সহদেবের জন্ম হয়। সুতরাং দেবরাজ ইন্দ্র পাঁচ অংশে অবতীর্ণ হন। আর দেবরাজ ইন্দ্রের স্ত্রী শচিদেবী দ্রৌপদী রূপে জন্ম হয়। সুতরাং দ্রৌপদীর কেবল দেবরাজ ইন্দ্রের স্ত্রী। দেবরাজ ইন্দ্রের পাঁচ শক্তি পঞ্চপাণ্ডবের মধ্যে বিরাজমান।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top