সৃষ্টির প্রথমে এই বিশ্ব ছিল ঘোর অন্ধকার অপ্রজ্ঞান অলক্ষন। কেবলমাত্র ছিল রুদ্র যিনি সব্বজ্ঞ অপরাজিত অনাদির আদি যিনি পঞ্চভূত সৃজন করেছেন। সকল জীবের যিনি উদ্ভবের স্থান বিশ্বতোবদন তিনি দেবাদিদেব মহাদেব, তিনি সর্বদা পরম আনন্দে বিরাজ করেন শোক দুঃক্ষ হিংসা দ্বেষ কিছু নেই তাঁহাকে দশন করলে পাপ নাশ হয়, পূর্ণ বারে। তাহার দক্ষিন অংশ হতে জন্ম হয় সৃষ্টি কর্তা ব্রহ্মাদেব, এবং বাম অঙ্গ হতে জন্ম পালন কর্তা বিষ্ণুদেব। একদা এক সময় ব্রহ্মাদেব আর বিষ্ণুদেব দুই জন নানা কথা বলতে বলতে ব্রহ্মাদেব বলে,আমরা দুজন একসাথে আছি, সংহার কর্তা রুদ্রদেব কোন স্থানে রয়েছে। হঠাৎ সেই সময় সাগরের জলের মধ্যে একটা বিশাল মহালিঙ্গ দেখতে পায়,অবাক হয়ে দুজনে ভয়ে কাঁপতে লাগলো এ কি এ কি বলে। এব পর বিষ্ণুদেব ধ্যানযোগে জেনে ব্রহ্মাদেবকে বলে ইহা মহেশ্বের লিঙ্গ, আমাদের জ্ঞান আর দর্শন দেবার জন্য কৃপা করে লিঙ্গ রূপ ধারণ করেছে। তার পর দুজনে শিব স্তব পাঠ করতে লাগলো লিঙ্গ মধ্যে মহেশ্বর দেখা দেয় তখন ব্রহ্মাদেব বলে সত্য সত্য ওহে নারায়ন এই তো শঙ্কর।