রাম এবং রাবনের যুদ্ধের সময় ভগবান শিব হনুমানের রূপ নিয়ে এসেছিল প্রভু শ্রী রামচন্দ্রকে সাহায্য করতে।হনুমানজী ছিলো মহাবীর সংকোচ মোচনকারী,রামের প্রতি তার ভক্তি ছিলো অটল। সর্বদা তিনি রাম এবং লক্ষনকে সাহায্য করতো। যুদ্ধের সময় তিনি যুদ্ধ করেছে, আবার অনেক বার বড় বিপদ থেকে রাম লক্ষনকে রক্ষা করেছে।যুদ্ধের সময় রাবনের ভাই মহীরাবন অন্ধকার পাতালে রাম-লক্ষনকে চুরি করে নিয়ে যায়। মহীরাবন ও ছিলো মহাবীর তার গোপন পাঁচটি জ্বলন্ত প্রদীপ ছিলো যদি কেউ এক সঙ্গে পাঁচটি প্রদীপ নেভাতে পারে তবে তার কাছে মহীরাবন পরাজিত হবে। মহীরাবনকে বধ করার জন্য হনুমানজী পঞ্চমুখ ধারণ করে। পাঁচটি মুখের প্রতিটি আলাদা আলাদা তাৎপর্য ছিলো। পঞ্চমুখ গুলো হল, হনুমান মুখ-শত্রু দমনের জন্যে। নৃসিংহ মুখ-ভয় ও বিপদ থেকে রক্ষা। গরুড় মুখ-সাপ ও অপদেবতার ভয় দূর করে। বরাহ মুখ-পিশাচ নরক ভয় দূর করে। হয়গ্ৰীব মুখ-জ্ঞান ও বিদ্যার প্রতীক। হনুমানজী পঞ্চমুখ দিয়ে পাঁচটি প্রদীপ একসঙ্গে নিভিয়ে মহীরাবনকে বধ করে এবং রাম ও লক্ষনকে উদ্ধার করে। পঞ্চমুখের চারটি মুখ ছিলো বিষ্ণু অবতারের। ভগবান বিষ্ণু এবং দেবাদিদেব মহেশ্বরের মিলিত শক্তি রূপ পঞ্চমুখী হনুমানজী। পঞ্চমুখী হনুমানজী খুব দয়ালু ও সর্বশক্তিমান। এই পঞ্চমুখী হনুমানজীর বাড়িতে পূজা করলে জীবনের সমস্ত বাঁধা বিপত্তি দূর হয়ে সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে। বাড়ীর প্রবেশদ্বারের উপর পঞ্চমুখী হনুমানজীর ছবি লাগানো থাকলে বাড়িতে কোন কুশক্তি, ভূত-পেত প্রবেশ করতে পারে না, সব বাঁধা বিপত্তি দূর হয়।