দূর্গা পূজা

দেবী দুর্গা -: দেবী দুর্গ সর্বশক্তি ,সবকিছুর অধীশ্বরী। তিনি সর্বপ্রকার মঙ্গলকারী, কল্যাণদায়িণী সিবা। সর্ব পুরুষার্থ সিদ্ধিদায়িনী, শরণাগত বৎসলা, ত্রিনয়নী গৌরী। শরণাগত দীন এবং পীড়িতকে রক্ষায় সতত নিয়ত তথা সকল পীড়া নিবারনকারিনী নারায়ণী দেবী। সর্বস্বরূপো,সর্বেশ্বরী তথা সর্বপ্রকার শক্তিসম্পন্না দিব্যরূপা দেবী দুর্গা।

দূর্গা পূজা -: দূর্গা পূজা হল হিন্দু ধর্মে একটি প্রধান উৎসব। দূর্গা পূজার ইতিহাস বহু প্রাচীন।পুরান মতে মহিষাসুর নামক এক অসুরের অত্যাচার থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করার জন্য দেবী দুর্গা আবির্ভূত হন। তিনি দশভূজা রূপে, অর্থাৎ দশ হাতে অস্ত্র ধারণ করে মহিষাসুরকে বধ করেন। এই বিজয়কেই স্মরণ করে দূর্গা পূজা উদযাপন করা হয়।পুরাণ মতে, রাজা সুরথ এবং বৈশ্য সমাধ মেধা মুনির পরামর্শে দেবী দুর্গার পূজা করেন এবং তাদের মনস্কামনা পূর্ন হর এই পূজা বসন্তকালে হয়েছিল বলে এর নাম বাসন্তী পূজা, আবার রামচন্দ্র লঙ্কার রাজা রাবণকে বধ করার জন্য শরৎকালে অকালবোধন করে দেবী দুর্গার আরাধনা ও পূজা করেছিলেন। তাই এটি শারদীয়া দুর্গোৎসব নামে বিশেষ ভাবে খ্যাত। (এই কাহিনীটি কৃত্তিবাস রামায়ণে)

মহিষাসুর কে -: মহিষাসুর ছিলেন অসুররাজ রম্ভাসুর এবং মহিষীর পুত্র।রম্ভাসুর এক মহিষীর সঙ্গে মিলিত হন এবং তাদের মিলন থেকে মহিষাসুরের জন্ম হয়।রম্ভাসুর ছিলেন ব্রহ্মষি কশ্যপের প্রপৌত্র। মহিষাসুর জন্ম থেকে শক্তিশালী আবার তিনি ব্রহ্মার তপস্যা করে বর পায় কোন দেবতা ও অসুর তাকে বধ করতে পারবে না। তিনি অসুরদের মধ্যে অত্যন্ত শক্তিশালী হয়ে ওঠেন এবং দেবতাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। তার শক্তি ও ক্ষমতার কাছে দেবতারা পরাজিত হয়ে স্বর্গ রাজ্য হারায়। মহিষাসুর স্বর্গ রাজ্য দখল করেন। স্বর্গ রাজ্যের রাজা হন । স্বর্গ -হারা দেবতারা, ব্রহ্মা, বিষ্ণু সাহায্য প্রার্থনা করেন মহেশ্বরের কাছে। অবশেষে দেবী দুর্গা দশভূজা রূপে মহিষাসুরকে বধ করেন।

দেবী দুর্গা কার কন্যা-: দেবী দুর্গা গিরিরাজ হিমালয়ের কন্যা । যদিও তিনি সবকিছুর অধীশ্বরী।

দেবী দুর্গার জন্ম কাহিনী -: পূর্বকালে দেবতা ও অসুরদের ঘোর যুদ্ধ হয়েছিল। সেই যুদ্ধে অসুরদের রাজা ছিলেন মহাবীর মহিষাসুর আর দেবতাদের অধীশ্বর ছিলেন দেবরাজ ইন্দ্র।ওই যুদ্ধে মহাবীর অসুরদের হাতে পরাজিত হন। মহিষাসুর স্বর্গের অধিপতি হয়ে বসলেন আর দেবতাদের স্বর্গ রাজ্য থেকে বিতাড়িত করে দিলেন। পরাজিত দেবতারা প্রজাতির ব্রহ্মাকে সঙ্গে নিয়ে বিষ্ণু ও শিবের কাছে এসে তাঁরা বললেন -হে ভগবান, সূর্য, ইন্দ্র, অগ্নি, বায়ু,চন্দ্র,যম, বরুণ ও অন্যান্য দেবতাদের অধিকার হরণ করে মহিষাসুর নিজেই সব অধিকার করে বসেছে। সেই সব দেবতারা এখন মানুষদের মতো পৃথিবীতে বিচরণ করছেন। আপনারা এখন এই মহিষাসুরের বধের কোন ও ব্যবস্থা করুন। দেবতাদের কাছে এই সব শুনে অত্যন্ত ক্রোধান্বিত চক্রপানি বিষ্ণুর বদন থেকে এক মহাতেজ নির্গত হলো।সাথে সাথে ব্রহ্মা, শিব,তথা ইন্দ্রাদি অন্যান্য দেবতাদের শরীর থেকে ও সুবিপুল তেজ নির্গত হলো।এই সমস্ত নির্গত তেজ একত্র হয়ে একটি জ্বলন্ত পর্বতের মত রূপ নেয়।সেই সুদীপ্ত তেজঃপুঞ্জ দশদিক ব্যাপ্ত করে।একত্র
সেই তেজঃপুঞ্জ একটা নারী মূর্তি ধারণ করল এবং আপন তেজে ত্রিলোক ব্যাপ্ত করে রাখল।এই নারী মূর্তিটি হলো মঙ্গলময়ী দেবী দুর্গা।

কোন দেবতা তেজঃপুঞ্জ থেকে দূর্গার কোন অঙ্গ -: সকল দেবতাদের শরীর থেকে নিঃসৃত তেজ একত্র হয়ে একটি নারী মূর্তি ধারণ করল। সেই নারীমূর্তির মুখ তৈরী হল শম্ভুর তেজে, যমের তেজে তৈরী হল মাথার চুল। বিষ্ণুর তেজে তৈরী হল তাঁর বাহুসকল। চন্দ্রতেজে তাঁর স্তনযুগল আর ইন্দ্রের তেজে শরীরের মধ্যভাগ, বরুণের তেজে জঙ্ঘা ও উরুদ্বয় এবং পৃথিবীর তেজে তাঁর নিতম্ব উদ্ভূত হল ৷ ব্রহ্মার তেজে পদযুগল, সূর্যের তেজে পদযুগলের অঙ্গুলিসকল, অষ্টবসুর তেজে হাতের সকল আঙ্গুল এবং কুবেরের তেজে তাঁর নাসিকা উৎপন্ন হল ।প্রজাপতিগণের তেজে দন্তপাটি এবং অগ্নির তেজে তিনটা চক্ষু উৎপন্ন হল । সন্ধ্যাদেবীর তেজে তাঁর ভ্রূযুগল এবং বায়ুর তেজে কান দুটী এবং এইরকম অন্যান্য দেবতাগণের তেজঃপুঞ্জ থেকেও সেই মঙ্গলময়ী দেবীর আবির্ভাব হল।

দেবী দুর্গাকে কোন দেবতা কি অলঙ্কার ও অস্ত্রশস্ত্রাদি দিয়েছিলেন -: দশভূজা দেবী দুর্গাকে দিলেন ত্রিশূলধারী ভগবান শঙ্কর তাঁর শূদ থেকে শূলান্তর এবং ভগবান বিষ্ণু চক্র থেকে চক্রান্তর উৎপাদন করে ভগবতীকে দিলেন । বরুণদেব দিলেন শঙ্খ, অগ্নি দিলেন শক্তি, গবনদেব একটা ধনু ও বাণদ্বারা পূর্ণ দুটা তুণ দিলেন।। সহস্রনয়ন দেবরাজ ইন্দ্র নিজের বজ্র থেকে বজ্রান্তর এবং ঐরাবত হাতীর গলার থেকে একটী ঘণ্টাও দিলেন। যমরাজ কালদণ্ড থেকে দণ্ডান্তর, জলদেবতা বরুণ নিজের পাশ থেকে একটা পাশ, প্রজাপতি কদ্রাক্ষের মালা এবং ব্রহ্মা দেবীকে কমণ্ডলু দিলেন। সূর্যদেব দেবীর সমস্ত রোমকূপে নিজের রশ্মিজাল ভরে দিলেন। কাল অর্থাৎ মৃত্যুদেবতা একটা প্রদীপ্ত ঢাল এবং উজ্জ্বল তরোয়াল দিলেন ॥ ২৪ক্ষীরসমুদ্র দিলেন উজ্জ্বল হার ও চিরনূতন দিব্য বস্ত্রের সঙ্গে দিব্য চূড়ামণি, দুটা কুন্তল, হাতের বালা, ললাটভূষণ উজ্জ্বল অর্দ্ধচন্দ্র, সকল বাহুর জন্য কেয়ূর, দুই চরণের জন্য নির্মল নূপুর, অতি উত্তম কণ্ঠাভরণ, এবং সব আঙ্গুলের জন্য রত্নাঙ্গুরী। দেবশিল্পী বিশ্বকর্মা দিলেন অতি নির্মল ধারাল কুঠার।। এর সাথে নানাপ্রকার অস্ত্রশস্ত্র এবং অভেদ্য কবচও দিলেন। এছাড়া মস্তক এবং বক্ষঃস্থলে ধারণ করার জন্য অম্লান পদ্মের মালা দিলেন । সমুদ্র তাঁর হাতে একটা অতি সুন্দর পদ্মফুল দিলেন। বাহনস্বরূপ সিংহ ও বিবিধ রত্ন দিলেন পর্বতাধিপতি হিমালয়।। ধনাধ্যক্ষ কুবের একটা মধুপূর্ণ পানপাত্র এবং নাগাধিপতি বাসুকি-যিনি এই পৃথিবীকে ধারণ করে আছেন দেবীকে বহুমূল্য রত্নে বিভূষিত নাগহার দিলেন। এইভাবে অন্যান্য দেবগণও অলঙ্কার ও অস্ত্রশস্ত্রাদি দিয়ে দেবীকে সুসজ্জিত করেছিলেন।

নবরাত্রি কি? -: নবরাত্রি হিন্দু ধর্মে একটি প্রধান উৎসব যা বছরে দুইবার পালিত হয়।প্রথম নবরাত্রি চৈত্র নবরাত্রি এবং দ্বিতীয়টি হলো শারদ নবরাত্রি।শারদ নবরাত্রি সাধারণত আশ্বিন মাসে শুক্লপক্ষের প্রতিপদ তিথিতে শুরু হয়। দেবী দুর্গা নয় রূপে নয় রাত নয় দিন ধরে যুদ্ধ করে অসুররাজ মহিষাসুরকে বধ করেছিলেন।দেবীর এই রূপকে নব দূর্গা বলে। দেবী দুর্গার এই বিজয়কে স্মরন করে নবরাত্রি উদযাপন করা হয়।এই নবরাত্রির সময় সমস্ত ভক্তরা দেবী দুর্গার আশির্বাদ প্রার্থনা করেন এবং বিভিন্ন আচার ও অনুষ্ঠান পালন করেন। নবরাত্রি বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ভাবে উদযাপিত হয়। যেমন গুজরাটে নবরাত্রি গরবা ও ডান্ডিয়া নাচের মাধ্যমে পালন হয়। দক্ষিণ ভারতে দেব- দেবীর মূর্তি সাজিয়ে প্রদর্শন করা হয়। পশ্চিমবঙ্গে বড় বড়ো মণ্ডপ তৈরি করে দেবী দুর্গার পূজা করা হয়। যে যেভাবে পালণ করুক দেবী দুর্গা সবর্ত তার ভক্তদের আশির্বাদ দেন।

নবরাত্রিতে দেবী দুর্গার কোন দিন কোন রূপকে পূজা করা হয় -:

প্রথম দিন দেবী শৈলপুত্রীর পূজা করা হয়। তিনি গিরিরাজ হিমালয়ের কন্যা তার বাহন বৃষ। তিনি সবকিছুর অধীশ্বরী তবুও হিমালয়ের তপস্যা ও প্রার্থনায় প্রসন্ন হয়ে, কৃপা করে তিনি কন্যা রূপে আবির্ভূতা হয়েছেন।

দ্বিতীয় দিন মূর্তির নাম ব্রহ্মচারিনী। সচ্চিদানন্দময় ব্রহ্মস্বরূপের প্রাপ্তি করানো যাঁর স্বভাব, তিনিই ব্রহ্মচারিনী। তাহার বাহন কমল।

তৃতীয় দিন দেবী চন্দ্রঘন্টার পূজা করা হয়। তিনি শান্তি এবং কন্যানের প্রতীক।

চতুর্থ দিনে দেবী কূষ্মণ্ডার পূজা করা হয়। ত্রিবিধ তাপযুক্ত সংসার যাঁহারা উদরের মধ্যে স্থিত, তাঁহাকে ভগবতী কূষ্মণ্ডা বলা হয়।দেবীর বাহন সিংহ।

পঞ্চম দিন দেবী স্কন্দমাতার পূজা করা হয়।ছান্দোগ্য উপনিষদ্ অনুসারে ভগবতীর শক্তি থেকে উৎপন্ন সনৎকুমারের নাম স্কন্দ।স্কন্দের মাতা হওয়ায় জন্য তাঁহাকে স্কন্দমাতা বলা হয়।দেবীর বাহন সিংহ।

ষষ্ঠ দিনে দেবী কাত্যায়নীকে পূজা করা হয় । দেবতাদের কার্যসিদ্ধি করার জন্য দেবী মহর্ষি কাত্যায়নের আশ্রমে আবির্ভূত হন এবং মহর্ষি তাঁকে নিজের কন্যারূপে গ্ৰহণ করেন, সেই জন্য তিনি কাত্যায়নী নামে প্রসিদ্ধ।দেবীর বাহন সিংহ।

সপ্তম দিনে কালরাত্রির পূজা করা হয়। সকলের নিধনকারী কালের ও তিনি রাত্রি ( বিনাশিকা )হওয়ার দরুন তিনি কালরাত্রি।দেবীর বাহন সিংহ।

অষ্টম দিনে দেবী মহাগৌরীর পূজা করা।এই দেবী তপস্যা দ্বারা মহান গৌরবর্ণ লাভ করেছিলেন, সেই সময় থেকে তিনি মহাগৌরী নামে প্রসিদ্ধ হন তিনি শান্তি ও সমৃদ্ধির প্রতীক।

নবম দিনে দেবী সিদ্ধিদাত্রীর পূজা করা হয়।সিদ্ধি অর্থাৎ মোক্ষদায়িনী হওয়াতে তাঁর নাম সিদ্ধিদাত্রী। দেবীর বাহন সিংহ।

মহিষাসুর মর্দিনী দেবী দুর্গার মুর্তির কোন দিকে কোন দেব দেবী থাকেন -: বিঘ্ননাশ ও সফলতা সিদ্ধির জন্য দক্ষিণ দিকে গণেশ থাকেন। জয়ের পর চারিত্রিক আত্মিক ও আধ্যাত্মিক ঐশ্বর্যোর মহাপ্রকাশ তাই দেবী লক্ষ্মী দক্ষিণে থাকেন। ব্রহ্মচর্য ও ইন্দ্রিয় নিগ্ৰহ এদের প্রতীক কার্তিক তাই দেবীর বাম পাশে থাকেন।জ্ঞান,বুদ্ধি এবং অন্তর্জ্যোতির প্রকাশ রূপ দেবী সরস্বতী তাই বাম দিকে থাকেন। অনেক ক্ষেত্রে দেবী দুর্গার দুই পাশে দুই শখি থেকে জয়া আর বিজয়া। দক্ষিণে থাকে নবপত্রিকা ।

দূর্গা পূজা কদিন ধরে পালিত হয় -: অশ্বিন মাসে শুক্লপক্ষের প্রতিপদ তিথিতে শুরু চলে দশমী পর্যন্ত। কিন্তু বেশিরভাগ পালন হয় ষষ্ঠ থেকে দশমী পর্যন্ত এই ৫ দিন ধরে পালিত হয়, মহাষষ্ঠী, মহাসপ্তমী, মহাষ্টমী, মহানবমী, বিজয়া দশমী।

দূর্গা পূজার কোন দিন কি লাগবে এবং পূজার পদ্ধতি -:

ষষ্ঠী দিন -: ষষ্ঠীর দিন থেকে বেশীরভাগ পূজা আরম্ভ হয় সেজন্য এক্ষেত্রে ষষ্ঠীতে কল্পারম্ভ বা সংকল্প করা হচ্ছে।
কল্পারম্ভ জন্য প্রয়োজন – সিন্দর, পঞ্চগুঁড়ি, পঞ্চগব্য, পঞ্চপল্লব, পঞ্চশস্য, ঘট , দ্বারঘট , কুন্ডহাঁড়ি, দর্পণ , তীরকাঠি ৪, আতপ চাউল, সশীষ ডাব , গামছা , শাড়ী ,তিল, হরীতকী, পুষ্প, দর্বা, বিল্বপত্র, তুলসী, ধূপ-দীপ, লালসুতা, কপূর, ধুনা, চন্দ্রমাল্য , পুষ্পমাল্য , দধি, মধু, ঘৃত, চিনি, নৈবেদ্য , কুচানৈবেদ্য , আসনাঙ্গুরীয় , মধুপর্ক বাটি ,ভোগের দ্রব্যাদি, আরতির দ্রব্য।

নবপত্রিকার কি কি দ্রব্য লাগবে -: কলাগাছ ১, কচুগাছ ১, হলুদ গাছ ১, জয়ন্তী গাছ ১, বিল্ব ডাল ১, ডালিম ডাল ১, অশোক ডাল ১, মানকচু গাছ ১, ধান গাছ ১, শ্বেত অপরাজিতা লতা, রক্তসূত্র, আলতা, কলাপেটো, পাটের রজ্জু, পাঁচফল, যুগ্ম বিশ্ব।

বোধনের দ্রব্য -: সিন্দুর, যুগ্মফলসহ বিল্বডাল ১, ঘট ২, কুন্ডহাঁড়ি ১, শাড়ী ১, বিল্ববৃক্ষের ধৃতি ১, আসনাঙ্গুরীয় ২, মধুপর্ক বাটি ২, দধি, মধু, ঘৃত, চিনি, পুষ্প, দুর্বা, তুলসী, বিল্বপত্র, ধূপ, দীপ, ধুনা, তিল, হরীতকী, নৈবেদ্য ২, কুচানৈবেদ্য ১, ছুরি ১, পুষ্পমাল্য ১, চন্দ্রমাল্য ১, শ্বেত সরিষ,
মাষকলাই, আরতির দ্রব্য।

অধিবাস ও আমন্ত্রণের দ্রব্য -: তিল, হরীতকী, দর্পণ, আসনাঙ্গুরীয় ২, মধুপর্ক বাটী ২, মধু, দধি, চিনি, ঘৃত, পুষ্প, দর্বা, তুলসী, বিল্বপত্র, ধূপ, দীপ, ধুনা, শাড়ী ১, বিশ্ব বৃক্ষের ধুতি ১, নৈবেদ্য ২, কুচানৈবেদ্য ১, আরতির দ্রব্য।

অধিবাস ডালা -: মহী (গঙ্গামৃত্তিকা অথবা শুদ্ধমৃত্তিকা), গন্ধ, শিলা (নুড়ি), ধান্য, দুর্বা, পুষ্প, ফল (অখন্ড কদলী), দধি, ঘৃত, স্বস্তিক (পিটুলি নির্মিত), সিন্দুর, শব্ন্ধ, কম্বল, গোরোচনা, সিম্বার্থ (শ্বেতসর্ষপ), কাল্গুন (স্বর্ণ), রৌপ্য, তাম্র, দর্পণ, চামর, আলতা, হরিদ্রাসূত্র, দীপ, আরতি।

সপ্তমী -: সপ্তমীর দিন সকালে নবপত্রিকা স্থান করানো হয় এবং নবপত্রিকা মন্দিরে প্রবেশ করানো হয় এবং সপ্তমী পূজা করা হয়।

সপ্তমী পুজোর দ্রব্য -: পূজাকবরণ ১, যজ্ঞোপবীত ৪, তিল, হরীতকী, পুষ্প, দুর্বা, তুলসী, ঘট ২. সশীষ ডাব ২. আতপ চাউল, কুন্ডহাঁড়ি ১. তেকাঠা, দর্পণ ১. ধূপ-দীপ, ধুনা প্রধান দীপ।

মহাম্মানের দ্রব্য -: তৈল, হরিদ্রা, কলস ৮, সহস্রধারা ১, পঞ্চগব্য, পঞ্চকযায়, পঞ্চামৃত, শিশিরোদক, ইক্ষুরস, বেশ্যাদ্বার মৃত্তিকা, গজদন্ত মৃত্তিকা, বরাহদস্ত মৃত্তিকা, চতুষ্পথ মৃত্তিকা, রাজদ্বার মৃত্তিকা, গঙ্গামৃত্তিকা, বল্মীক মৃত্তিকা, নদীর উভয়কূল মৃত্তিকা, পর্বত মৃত্তিকা, তিল তৈল, বিষ্ণু তৈল, উদ্ভোদক, নারিকেলোদক, সর্বৌষধি, মহৌষধি, পঞ্চরত্ন মিশ্রিত জল, সাগরোদক, পদ্মরেণুদক, দুধ, মধু, কপূর, অগুরু, চন্দন, কুকুম, বৃষ্টিজল, ফলোদক (ডাবের জল) সরস্বতী নদীর জল, নির্ঝরোদক, সপ্তসমুদ্রের জল।

সপ্তমী পুজো -: পঞ্চগুঁড়ি, পঞ্চরত্ব, পঞ্চপল্লব, সিন্দুর, গামছা ২আরতির বস্ত্র, শ্বেত সরিষা, মাষকলাই, জবা পুষ্প, কুচানৈবেদ্য ১. আসনাঙ্গুরীয় ১৬, রজতাসন, মধুপর্কের কাংস্যবাটি ১৬, দধি, মধু, ঘৃত, চিনি, নৈবেদ্য, (সব দেবতার জন্য) নবপত্রিকার পরিধেয় শাড়ী ১, দুর্গার শাড়ী ১, লক্ষ্মীর শাড়ি ১, সরস্বতীর শাড়ী ১, চন্ডীর শাড়ী ১, নবপত্রিকা পুজো শাড়ী, কার্তিকেয়ের ধুতি ১, শিবের ধুতি ১, বিষ্ণুর ধুতি ১, অসুরের ধুতি ১, অর্থাদুর্বা ১০৮, চন্দ্রমাল্য ৮, থালা, ঘড়া বা ঘটা ১, লোহা ২, শাঁখা ২, নথ ১, সিন্দুর চুবড়ী ৪, পুষ্পমাল্য, রচনাদ্রব্যাদি, ফলমূলাদি, ভোগের দ্রব্যাদি,আরতি, জায়ফল, লবঙ্গ, অপরাজিতা (শ্বেত) পদ্ম।

হোমের দ্রব্য -: বালি, কাষ্ঠ, কুশ, হোমের ঘৃত, হোমের বিল্বপত্র, কপূর অথবা পাটকাঠি, কাঁসার থালা (অগ্নি আনয়নের জন্য)।

অষ্টমী পুজোর কি কি দ্রব্য লাগবে -: দন্তকাষ্ঠ ১, মহাস্নান দ্রব্য, পুষ্প, দুর্বা, তুলসী, বিল্বপত্র, ধূপ-দীপ, ধুনা, বস্ত্রাদি, আসনাঙ্গুরী, এবং মধুপর্ক বাটি (পূর্বদিনের ন্যায়), দধি মধু, ঘৃত, চিনি, নৈবেদ্য, জায়ফল, লবঙ্গ, পদ্ম, অপরাজিতা ও পদ্ম, কুচানৈবেদ্য ১, অষ্টগন্ধ, চন্দ্রমাল্য, পুষ্পমাল্য, বিল্বপত্রমাল্য, থালা ১, ঘড়া বা ঘটি ১, লোহা ১, শাঁখা ২, নথ ১, রচনা, সিন্দুর চুবড়ী১।

সন্ধি পূজা কি -: সন্ধি পূজা দূর্গা পূজার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ।এই পূজা অষ্টমী তিথি এবং নবমী তিথির সন্ধিক্ষণে অনুষ্ঠিত হয় যা সন্ধিক্ষণ নামে পরিচিত।এই সময়ে দেবী দুর্গার চামুণ্ডা রূপে পূজা করা হয়। কারণ পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী এই সময়ে দেবী দুর্গা চণ্ড ও মুণ্ড নামে দুই অসুরকে বধ করেছিলেন।

কেন সন্ধি পূজা করা হয় -: সন্ধি পূজা মূলতঃ দেবী দুর্গার চামুণ্ডা রূপে পূজা।চণ্ড ও মুণ্ড নামে দুই অসুরকে বধ করার ঘটনা স্মরণ করতে এই পূজা করা হয়। এই পূজার মাধ্যমে দেবীর শক্তি ও সাহসের প্রশংসা করা এবং ভক্তরা তাঁর আশির্বাদ প্রার্থনা করেন।

সন্ধিপুজোর কি কি দ্রব্য লাগবে -: পুষ্প, দূর্বা, বিশ্বপত্র, ধূপ-দীপ, ধুনা, স্বর্ণাসন ও অঙ্গুরীয় ১, মধুপর্ক কাংস্যবাটা ১, শ্বেতসরিষা, যব, তিল, মাষকলাই, অষ্টগন্ধ, জায়ফল, লবঙ্গ, কক্কোল চূর্ণ, শ্যামা ঘাস, পদ্ম, অপরাজিতা, দধি, চিনি, মধু, ঘৃত, চেলীর শাড়ী ১, নৈবেদ্য, রচনাদ্রব্য, ফলমূলাদি, থালা ১. ঘড়া বা বাটি ১, লোহা ১, শাঁখা ২, নথ ২, শয্যাদ্রব্য, চন্দ্রমাল্য ১, পুষ্পমাল্য ১, ভোগের দ্রব্যাদি, আরতি, কুমারী পুজোর দ্রব্য, হোমের দ্রব্য, প্রদীপ ১০৮।

হোমের কি কি দ্রব্য -: বালি, কাষ্ঠ, কুশ, হোমের ঘৃত, হোমের বিল্বপত্র, কপূর অথবা পাটকাঠি, কাঁসার থালা (অগ্নি আনয়নের জন্য)।

নবমী পুজা কি কি দ্রব্য -: মহামানের দ্রব্য, দস্তকাষ্ঠ, পুষ্প প্রভৃতি, বস্ত্র, আসনাঙ্গুরীয়ক, মধুপার্কের বাটি), (পুজোর ন্যায় অথবা মুলপুজা ও চণ্ডীর শাটী মাত্র), দধি, মধু, যুত, চিনি, নৈবেদ্য ৪০ বা ২২, কুচা নৈবেদ্য ৪. খালা ১, এটি ১, সিপুরচুবড়ি ১, লোহা, শব্ন্ধ, নখ, চন্দ্রমালা, পুষ্পমালা, রচনা, পান, পানের মশলা, হোমের বিশ্বপত্র, হোমের প্রব্যাদি, পূর্ণপাত্র, আরতি, ।

কুমারী পূজা কি -: কুমারী পূজা হল দূর্গা পূজার একটি বিশেষ আচার,যা মহাষ্টমী বা মহানবমী তিথিতে পালিত হয়। এই পূজায় ১৬ বছরের কমবয়সী অবিবাহিতা অন্যকে দেবী দুর্গার প্রাতিভূ হিসেবে পূজা করা হয়।(যতদিন না কন্যা ঋতুমতী না হয়, ততদিন তাকে কুমারী রূপে পূজা হয়।)

বয়সানুসারে কুমারীকে কি নামে পূজা হয়-: একবর্ষা-সন্ধ্যা, দ্বিবর্ষা-সরস্বতী, তৃতীয়বর্ষা-ত্রিধামূর্তি, চতুবর্ষা কালিকা, পঞ্চমবর্ষা-সুভগা, ষড়বর্ষা-উমা, সপ্তমবর্ষা-মালিনী, অষ্টমবর্ষা-কুজিকা, নবমবর্ষা-কালসন্ধর্ভা, দশমবর্ষা-অপরাজিতা, একাদশবর্ষা-রুদ্রাণী, দ্বাদশবর্ষা- ভৈরবী, ত্রয়োদশবর্ষী-মহালক্ষ্মী, চতুর্দশবর্ষা-পীঠনায়িকা, পঞ্চদশবর্ষা-ক্ষেত্রজ্ঞা, ষোড়শবর্ষা-অম্বিকা।

কেন কুমারী পূজা করা হয় -: কুমারীকে দেবী দুর্গার প্রতিমুর্তি হিসেবে পূজা করা হয় কারণ তাকে দেবীর মতোই পবিত্র ও প্রশান্ত মনে করা হয়।


নারীর সম্মান -: হিন্দু শাস্ত্র মতে নারীকে সম্মান ও শ্রদ্ধার আসনে বসাতে এবং দেবীর কুমারী রূপের অর্চনা করতেই এই পূজার বিধান দেওয়া হয়েছে।

আধ্যাত্মিকতা -: কুমারী পূজা আধ্যাত্মিকতার প্রতীক,যা মানুষের মধ্যে ঙ্গঁশ্বরের উপস্থিতি ও পবিত্রতার প্রতিফলন ঘটায়।

পূজার পদ্ধতি -: কুমারীকে গঙ্গার পবিত্র জলে স্থান করিয়ে লাল বেনারসী শাড়ি পরানো হয়। ফুলের গয়না দিয়ে সাজানো হয় এবং পায়ে আলতা পরানো হয়।


পূজা -: পূজার সময় কুমারীকে উপবাস করতে হয়। এবং দেবীর মূর্তির সামনে বসিয়ে পূজা করা হয়। পূজার সময় মন্ত্রোচ্চরণ ও আরতি করা হয়।


প্রসাদ বিতরণ -: পূজার শেষে কুমারীকে প্রসাদ দেওয়া হয় এবং উপস্থিত ভক্তদের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করা হয়।

দশমী পূজা -: সকালে দশোপচারে পূজা, গন্ধ, পুষ্প, দুর্বা, তুলসী, বিশ্বপত্র, ফুল, দীপ, নৈবেদ্য, দধি, মুড়কী, ও মিষ্টান্ন, সিদ্ধি,আরতি।

দূর্গা পূজার মন্ত্র -: ওঁ হ্রীং শ্রীদুর্গায়ে নমঃ।

দূর্গা ধ্যান মন্ত্র -: ওঁজটাজুটসমাযুক্তামর্দ্ধেন্দুকৃতশেখরাম্ লোচনত্রয়সংযুক্তাং পূর্ণেন্দুসদৃশাননাম্ ॥ ১ । অতসীপুষ্পবর্ণাভাং সুপ্রতিষ্ঠাং সুলোচনাম্। নবযৌবন সম্পন্নাং সর্ব্বাভরণভূষিতাম্ ॥২॥ সূচারুদশনাং তদ্বৎ পীনোন্নত পয়োধরাম। ত্রিভঙ্গস্থানসংস্থানাং মহিষাসুরমর্দিনীম্ ॥ ৩ ॥ মৃণালায়তসংস্পর্শদশবাহসমন্বিতাম্। ত্রিশূলং দক্ষিণে-ধ্যেয়ং খড়গং চক্রং ক্রমাদধঃ ॥৪॥ তীক্ষ্ণবাণং তথা শক্তিং দক্ষিণে সন্নিবেশয়েৎ। অধস্তান্মহিষং তম্বদ্‌ দ্বিশিরস্কং প্রদর্শয়েৎ ॥ ৫৬ শিরচ্ছেদোস্তবং তদ্বদ্‌ দানবং খড়গপাণিনম্। হাদি শুলেন নির্ভিয়ং নির্যদন্ত্র বিভূষিতম্ ॥ ৬। রক্তারজীকৃতাঙ্গক রক্তবিস্ফুরিতেক্ষণম্। বেষ্টিতং নাগপাশেন ভ্রুকুটীভীষণাননম্ ॥ ৭৪ সপাশবামহাঞ্জেন ধৃতকেশঞ্চ দুর্গয়া। বমন্দ্ রুধিবনক্রঞ্চ দেব্যাঃ সিংহং প্রদর্শয়েৎ ৪৮। দেব্যান্ত দক্ষিণং পাদং সমং সিংহোপরিস্থিতম্। কিঞ্চিদূর্দ্ধং তথা বামমঙ্গুষ্ঠং মহিবোপরি । ৯। শত্রুক্ষয়করীং দেবীং দৈত্য-দানবদর্পহাম্। প্রসন্নবদনাং ভদ্রাং সর্বকামফলপ্রদাম্ ॥ ১০০ সূয়মানঞ্চ তদরূপমমরৈঃ সন্নিবেশয়েৎ ॥ ১১ ॥ উগ্রচণ্ডা প্রচণ্ডা চ চণ্ডোগ্রাচগুনায়িকা। চণ্ডাচণ্ডবর্তী চৈব চণ্ডরূপাতি চণ্ডিকা ॥ ১২ । অষ্টাভিঃ শক্তিভিস্তাভিঃ সততং পরিবেষ্টিতাম্।
চিন্তয়েজ্জগতাং ধাত্রীং ধৰ্ম্মকামার্থমোক্ষদাম্ ॥ ১৩

পূজাবিধি-পূজামন্ত্র -: এতে গন্ধপুষ্পে ওঁ হ্রীং দুর্গায়ৈ নমঃ ইত্যাদি। মূলমন্ত্র হীং অথবা ওঁ দুর্গে দুর্গে রক্ষণি স্বাহা অথবা ওঁ দক্ষযজ্ঞবিনাশিন্যৈ মহাঘোরায়ৈ যোগিনী কোটিপরিবৃতায়ৈ ভদ্রকাল্যৈ ওঁ হ্রীং দুং দুর্গায়ৈ নমঃ।

পুষ্পাঞ্জলি মন্ত্র -: ওঁ মহিষঘ্নি মহামায়ে চামুণ্ডে মুণ্ডমালিনি। আয়ুরারোগগুবিজয়ং দেহি দেবি নমোহস্তুতে । এষ সচন্দন-পুষ্পবিদ্যপত্রাঞ্জলিঃ ওঁ দক্ষযজ্ঞবিনাশিন্যৈ মহাঘোরায়ৈ যোগিনী কোটিপরিবৃতায়ৈ ভদ্রকাল্যৈ ওঁ হ্রীং দুং দুর্গায়ৈ নমঃ।ওঁ সৃষ্টিস্থিতিবিনাশানাং শক্তিভূতে সনাতনি। গুণাশ্রয়ে গুণময়ে নারায়ণি নমোহস্তুতে । এছ সচন্দনপুষ্পবিশ্ব পত্রাঞ্জলিঃ ওঁ দক্ষযজ্ঞবিনাশিন্যৈ মহাঘোরায়ৈ যোগিনী কোটিপরিবৃতায়ৈ ভদ্রকাল্যৈ ওঁ হ্রীং দুং দুর্গায়ৈ নমঃ। ওঁ শরণাগতদীনার্জ পরিত্রাণ পরায়ণে। সর্ব্বস্যার্তিহরে দেবি নারায়ণি নমোহস্তুতে । এষ সচন্দনপুষ্প- বিশ্বপত্রাঞ্জলিঃ ও দক্ষযজ্ঞবিনাশিন্যৈ ।মহাঘোরায়ৈ যোগিনী কোটিপরিবৃতায়ৈ ভদ্রকাল্যৈ ওঁ হ্রীং দুং দুর্গায়ৈ নমঃ।

প্রণাম মন্ত্র -: ওঁ সর্বমঙ্গল মঙ্গল্যে শিবে সর্ব্বার্থসাধিকে। শরণ্যে ত্র্যম্বকে গৌরি নারায়ণি নমোহস্তুতে।

বিল্ববৃক্ষের ধ্যান মন্ত্র -: ওঁ চতুর্ভুজং বিল্ববৃক্ষং রজতাভং বৃষস্থিতম্। নানালঙ্কার সংযুক্তং জটামণ্ডলধারিণম্।। বরাভয়করং দেবং খড়া-খটাঙ্গধারিণম্। ব্যাঘ্রচর্মাম্বরধরং শশিমৌলিত্রিলোচনম্ ।।

কুমারী পূজায় ধ্যান মন্ত্র -: ওঁ বালরূপাঞ্চ ত্রৈলোক্যসুন্দরীং বরবর্ণিনীম্ । নানালঙ্কারভূষাঙ্গী ভদ্রবিদ্যা প্রকাশিনীম্। চারুহাস্যং মহানন্দহৃদয়াং শুভদাং শুভাম্। ধ্যায়েৎ কুমারীং জননীং পরমানন্দরূপিণীম্ ।।

কুমারী পূজায় প্রনাম মন্ত্র -: ওঁ নমামি কুলকামিনীং পরমভাগ্যসন্দায়িনীম্। কুমারী রতিচাতুরীং সকলসিদ্ধিমানন্দিনীম্ ॥ প্রবাল গুটিকাস্রজং রজতরাগবস্ত্রান্বিতাম্। হিরণ্যতুলভূষণাং ভুবনবাক্ কুমারীং ভজে ।।

দূর্গা পূজা শুধু ধর্মীয় নয় এর সার্থে সার্থে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় নানা ধরনের প্যান্ডেল পরিদর্শন, কেনাকাটা এবং ভোজের আয়োজন হয়।
কলকাতার দূর্গা পূজা বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য কারণ এটি ইউনেস্কোর অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top