দক্ষরাজার কন্যা সতীকে ভগবান শিব বিয়ে করেন। কিন্তু শিবকে জামাতা বলে মেনে নেয়নি দক্ষরাজ। চন্দ্রদেব বিয়ে করেন দক্ষরাজার সাত জন কন্যাকে,চন্দ্রদেবকে জামাতা বলে মানে দক্ষরাজ সম্পর্ক ভালো ছিল। কৈলাসে এক সময় শিব আর সতীর মধ্যে ঝগড়া হলে সতী কিছু দিনের জন্য অন্য জায়গায় গিয়ে কাটায়। এদিকে সতী বিরহের শিব তান্ডব লীলা চালায় এর ফলে ত্রিভুবনে অন্ধকার নেমে আসে সূর্যের আলোও পরে না বড় বড় বৃক্ষ শ্তকিয়ে রায়। এই সময় দক্ষরাজ এক যজ্ঞের আয়োজন করে,এবং জামাতা চন্দ্রদেবকে নিমন্ত্রণ করে। কিন্তু যজ্ঞের দিন ছিল পূর্নিমা তাই চন্দ্র সেই যজ্ঞসভায় উপস্থিত হতে পারেননি। যজ্ঞস্থানে চন্দ্রকে না দেখতে পেয়ে দক্ষরাজ প্রচন্ড রেগে যায়। এক দিকে শিবের ধংশলিলা আর চন্দ্রকে দক্ষরাজার রোশ থেকে চন্দ্রকে বাঁচাবার জন্য সমস্ত দেবতাগণ মিলিতভাবে চন্দ্রকে ষোলো কলায় বিভক্ত করে। এর পর এক কলা শিবের মাথায় জটায় মধ্যে ও চৌদ্দ কলা সূর্যের নিকটে লুকিয়ে রাখে। অবশিষ্ট এক কলা চন্দ্রদেব ক্ষীণ মুর্তি ধারন করে রহিল,দক্ষরাজ এসে এই এক কলা চন্দ্রকে জ্যেতিনাশ করে। এর ফলে দক্ষরাজের সাত কন্যা চন্দ্রের স্ত্রীরা চন্দ্রকে ফিরিয়ে আনার জন্য ভগবান বিষ্ণুর কাছে গিয়ে কাতর কন্ঠে প্রার্থনা করে। এর পর বিষ্ণুদেব সূয মন্ডল থেকে চন্দ্রদেবর চৌদ্দ কলা ফিরিয়ে আনে। কিন্তু ভগবান শিব চন্দ্রদেবর এক কলা না ফিরিয়ে আজও মাথায় ধারন কোরে আছে তাই ভগবানশিব চন্দ্রচূর নামে অভিহিত।