তপসীনি শবরী শ্রী রামচন্দ্রর দরশন পাওয়ার পর, শ্রী রামচন্দ্র কে শবরী বলে হে প্রভু সীতা উদ্ধার করিতে পবনপুত্র বীর হুনমানজীর তোমার প্রয়োজন হবে, তাহার সাহায্য গ্রহণ করুন । রাম ঋষিমুক পর্বতে গিয়ে হুনমান সুগ্রীবের সঙ্গে বন্ধুত্ব স্থাপন করে, এবং কিস্কিন্দার রাজা বালি কে হত্যা করে, কিস্কিন্দার রাজা করে সগ্ৰীবকে। কিস্কিন্দার রাজা সগ্ৰীবকে করার পর, বানর সেনা বাহিনী তৈরী করে সীতার সন্ধান শুরু করে। তার পর সন্ধান করার সময় স্বয়নপ্রভা নামে একজন তপসীনি মায়াবীনি সীতার সন্ধান দিয়ে বলেছিলসুমদ্রে ওপারে লঙ্কার রাজ্যের রাজা রাবন সীতাকে চুরি করে নিয়ে গিয়ে সেখানে বন্ধি করে রেখেছে। এই সংবাদ শুনে বীর হুনমানজী হাওয়ায় ভেসে লঙ্কার রাজ্যের গিয়ে রাবনের ভাই বিভিসনের সাথে বন্ধুত্ব করে। তারপর সীতার সঙ্গে সাক্ষাত করে, লঙ্কার রাজ্যের সমস্ত কিছু দেখে এমনকি লঙ্কার বিভিন্ন স্থানে আগুন লাগিয়ে দেয়। এরপর রামের কাছে ফিরে এসে সমস্ত সংবাদ দেন। এরপর শ্রী রামচন্দ্র সেনাবাহিনী নিয়ে সুমদ্র পেরিয়ে লঙ্কার যাবার জন্য সেতু বাধার কাজ শুরু করে। সেই সময় শ্রী রামচন্দ্র, ভগবান শিবকে পূজা করার কথা বলেন। তখন লন পাথর কেটে স্বেত শিব লিঙ্গ তৈরী করে, ও হুনমানজী কৈলাশ থেকে সহস্র স্বেত পদ্ম আনিয়া পূজার সমস্ত আয়োজন করে। শ্রী রামচন্দ্র ভগবান শিবের স্বেত শিব লিঙ্গ প্রতিষ্ঠা করেন। শিবের স্তপ মন্ত্র পাঠ করে, জল ও স্বেত পদ্ম অপন করে বলেন, হে প্রভু আপনি আমার পুজা গ্ৰহন করুন, রাবনকে বদ্ধিতে আমায় সহায়তা করুন, আপনি আমার ইষ্ঠ হন। তখনই শিব নিজের রুপ ধারন করে লিঙ্গের মধ্যে হতে বাহির হয়ে রাম এবং শিব পরস্পর পরস্পরের গুরু বলিয়া সম্ভাষন করেন। সেই থেকে রামের গুরু শিব আর শিবের গুরু রাম । ভগবান শিব সর্বদা রামের ধ্যান করেন ।