দেবাদিদেব মহাদেব হলো ভক্ত বাঁচ্ছা কল্পতরু। তাঁহাকে জানিতে হইবে, শিব চরিত্র বা তাঁহার মহিমার কথা শ্রবণ করিতে হইবে। শ্রবণ করিতে করিতে জ্ঞান লাভ করিয়া শিব বিষয়ে দৃঢ় ভক্তিসম্পন্ন হতে হবে। এই রুপ ব্যক্তি কেবলমাত্র নিয়মপূব্বক তাঁহাকে ভক্তি করিলে ও তিনি প্রসন্ন হন, এবং ভক্তকে বাঞ্ছিত ফল প্রদান করেন। কেবল মাত্র নিয়ম পূর্বক জল সমর্পণ করিলে ও তিনি প্রসন্ন হন এবং তৎপ্রদান কারীকে জগত্রয় দান করিয়া থাকেন। ইহা যদি সম্ভব না হয়, তাহলে নিয়ম অনুসারে তাঁহাকে প্রদক্ষিন পুব্বক নমস্কার করিলে ও তাহাতে তিনি সন্তষ্ট হন। এটিও যদি সম্ভব না হয়, মনে মনে ভগবান শিবকে চিন্তা করিলে এই প্রকার ব্যক্তিকে তিনি আশির্বাদ প্রদান করেন। পরমেশ্বর শিব উত্তম দ্রবের অপেক্ষা বেশী প্রিয় বন্য দ্রবের যেমন বিল্বকাষ্ঠো চন্দন, বনোজ্য পুস্প। শিবকে উপাসনার জন্য কোন নিয়ম,সময়,স্থান বা দেশ নেই। সাধক ভগবান শিবকে আত্মরূপে ধ্যান করিয়া শিবসাযুজ্য প্রাপ্ত হন। কিন্তু যাহার কোটি কোটি জম্নের সুসঞ্ছিত পাপ বিদ্যমান রহিয়াছে সেই ব্যত্তির এই রূপ ভাব বিকশিত হতে পারে না। যদি কোন ব্যক্তি ধনসম্পদ বা কোন কিছু নিয়ে অহংকার করে, যেমন আমি রাজা আমি ধনী তাহলে তাকে সবংশে নিধন করিয়া থাকে। আর যিনি শিব হরন বলিয়া গবিত তাঁহাকে আন্তসাযুজ্য ভগী করিয়া থাকেন। ভগবান শিব অল্পোতে প্রসন্ন হন । এই রূপ সুখলভ্য ভগবান শিব পরিত্যাগ করিয়া ইন্দ্রাদি দেবতাকে সেবা করা এক প্রকার মুখ্যমো করা যেমনটি ভাগীরথীর পূন্য শিতল জলকে পরিত্যাগ করিয়া মৃত্তিকা খুলিয়া জল ভোগের অভিলাশ করা। ভগবান শিব পরিত্যাগী ব্যক্তি মূখ্য বলিয়া পরিগনিত।