শ্রী কৃষ্ণ পুতনা রাক্ষসীকে কেন স্তন দুধ পান করে বধ করেছিল।

পূর্বকালে দৈত্যদের রাজা ছিলো বলি তাঁর স্ত্রীর নাম বিন্ধ্যাবলি। দৈত্যরাজ বলির পূর্বপুরুষ প্রহ্লাদ ছিলো মহান দাতা। বলির পিতা বিরোচন নিজের আয়ু দেবতাদের দান করেছিলো। রাজা বলি ও ছিলো একজন দানবীর। দৈত্যরাজ বলি গুরু শুক্রাচায্যের শিষ্যত্ব গ্রহন করে গুরুকে স্বর্গ রাজ্য অধিকারের উপায় জানতে চায়। তার পর গুরুর আদেশে বলি বিশ্বজিত নামক যজ্ঞ সম্পন্ন করে ব্রক্ষ – তেজস্বী হয়ে স্বর্গ রাজ্য অধিকার করে এবং স্বর্গ রাজ্যের অধিপতি হয়। স্বর্গে দৈত্যরাজ বলি মহা আনন্দে শত অশ্বমেধ যজ্ঞ আরম্ভ করে। দৈত্যরাজ বলিকে দমন করতে ভগবান বিষ্ণু কশ্যপ মনুর স্ত্রী অদিতীর গর্ভে বামন রূপে জন্মগ্ৰহন করে। বামনরূপী বালক বলির যজ্ঞালয়ে এসে কিছু কিঞ্চিৎ দান পার্থনা করেছিল বলির কাছে। সেই মুহূর্তে বলির স্ত্রী বিন্ধ্যাবলি -বামনরূপী বিষ্ণুকে দেখে বাৎসল্য ভাব জেগে উঠে,সে মুগ্ধ হয়ে মনে মনে ভাবতে থাকে আমার যদি এমন একটি ছেলে থাকতো তাহলে আমি তাকে কোলে নিয়ে স্তনপান করাতাম। আবার পরে যখন বিষ্ণুদেবের আদেশে বলিকে রাজসভায় বন্ধন করা হয় তখন বিন্ধ্যার মনোভাব পরিবর্তন হয়। সে ভাবে এই দুষ্ঠমতি বালকে কাছে পেলে ওকে বিষ খাঁইয়ে মারতাম। অন্তয্যামি নারায়ন বিন্ধ্যার অন্তরের কথা জানতে পেরেছিল। দ্বাপরের সন্ধিক্ষনে নারায়ন। কৃষ্ণ অবতার রূপে জন্মগ্ৰহন করে। বিন্ধ্যার পুতনা রাক্ষসী রূপে জন্ম হয়। পূর্ব জন্মের মনস্কামনা পূরনের জন্য কৃষ্ণরূপী নারায়ন পুতনা রাক্ষসীকে স্তন পান করে বধ করেছিল। স্বয়ৎ নারায়ন তাকে মা বলে সম্বোধন করা এবং তাঁর স্তনে মুখ দেওয়ার পুতনা রাক্ষসী মুক্তিলাভ করে গোলক-বাসিনী হয়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top